0



গর্ভাবস্থায় দুর্বলতা, জ্বর বা ছোটখাট ইনফেকশন হওয়া খুবই স্বাভাবিক সমস্যা। এসব ছোটখাট সমস্যায় অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে নেন। অথচ গর্ভাবস্থায় সেই অ্যান্টিবায়োটিকই ডেকে আনতে পারে বড়সড় বিপদ।
কানাডার মন্ট্রিয়ল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থায় বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে জন্মগত ত্রুটি নিয়েই পৃথিবীতে আসতে পারে আপনার সন্তান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিস্থিতি হতে পারে আরো ভয়াবহ।
মন্ট্রিয়ল ইউনিভার্সিটির গবেষক অ্যানিক বি-রার্ড জানান, গর্ভাবস্থায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় প্রায়ই মহিলারা ইনফেকশনে ভোগেন। এই সময় কোনো ইনফেকশনের চিকিত্সা না করালে তার প্রভাব আরো ক্ষতিকর হতে পারে।
বিশেষত গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে বুক ও মূত্রনালীতে ইনফেকশন খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এই সময় যদি ইনফেকশনের চিকিত্সা না করানো হয় তা হলে সমস্যা গুরুতর হতে পারে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক এই সময় এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়।
তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে যার প্রভাবে অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাত, প্রি-ম্যাচিউরড ডেলিভারি, শিশুর জন্মগত ত্রুটি, এমনকি জন্মের সময় ওজন অতিরিক্ত কম হওয়ার সমস্যা হতে পারে।
কানাডায় ১৯৯৮-২০০৮ পর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার শিশুর জন্ম গবেষণা করে মন্ট্রিয়ল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কোন অ্যান্টিবায়োটিক গর্ভাবস্থায় নিরাপদ, কোনটা নয় তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি এই গবেষণার ফল ব্রিটিশ জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। এই একই গবেষকদের দল ২০১৭ সালের মে মাসে একটি গবেষণায় অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাতের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন।
সিনসিনাটি চিলড্রেন’স হাসপাতাল মেডিবেল সেন্টারের বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আমাদের খাদ্যনালীতে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া শিশুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রেগন্যান্সিতে দীর্ঘ দিন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে তা খাদ্যনালী থেকে এই উপকারি ব্যকটেরিয়া মেরে ফেলে যা শিশুর বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়।
কোনো কোনো ওষুধের ফাইলেই গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলার কথা উল্লেখ করা থাকে। উল্লেখ করা না থাকলেও গর্ভাবস্থায় যে কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা।

এমএসআই

Post a Comment

Nice Site

 
Top