0



বর্ষাকালে আমাদের অসুখ-বিসুখের প্রকোপ বেড়ে যায়। সর্দি, কাশি, জ্বর এই সময়ের বেশ পরিচিত অসুখের নাম। এসময়ে একটু অসাবধানতার কারণেই হতে পারে খুসখুসে কাশি। খুসখুসে কাশি একবার শুরু হলে তাকে থামানো বেশ কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে। তাই যেকোনো পরিবেশে শুষ্ক কাশি বিরক্তির সৃষ্টি করে। চলুন জেনে নেয়া যাক, শুষ্ক কাশি থেকে মুক্তির উপায়-

শুষ্ক কাশিতে প্রচুর পানি পান করতে হয়। এবং অবশ্যই সেই পানি হালকা গরম হতে হবে। সারাদিনই অল্প অল্প করে গরম পানি পান করলে, খুসখুসে কাশি দূর হয়ে যাবে। দিনে অন্তত ১২ গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন। কাশি থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে।

প্রতিদিন চারটি তুলসী পাতা নিয়ে, তার সাথে মধু মিশিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিন। চায়ের সাথে তুলসী পাতা মিশিয়েও খাওয়া যায়। তুলসী পাতা দ্রুত খুসখুসে কাশি নিরাময়ে সহায়ক।

কাশির জন্য সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসাটা হলো আদা। এক্ষেত্রে আদার টুকরোর ওপর লবণ ছিটিয়ে ভালো করে চিবিয়ে রস খাওয়াটাই উত্তম। এছাড়া পরিমাণমতো পানিতে এক ইঞ্চি আদা কুচি করে সেটা সেদ্ধ করে পানির পরিমাণ অর্ধেক করে ফেলুন। তারপর পানিটা ছেঁকে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন। দিনে ৩-৪ বার এ পানীয় পান করলে কাশি কমে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট স্কুল অব মেডিসিনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মধু খাওয়ার পর রাতের যন্ত্রণাদায়ক কাশি বন্ধ হয়ে গেছে, ঘুমও হয়েছে ভাল। তবে রোগ ভেদে মধুর প্রয়োগও ভিন্ন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রাতভর কাশতে হবে না। এছাড়া কাশি দূর করতে আঙুরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়।

সিগারেটের অভ্যাস থাকলে তা তৎক্ষণাৎ ছেড়ে দিন। সিগারেট কাশির উদ্রেগ বাড়িয়ে দেয়। সেই সাথে পাশে কেউ ধূমপান করলে তাকেও নিষেধ করে দিন।

দেড় কাপ পানিতে এক চামচ কালো গোল মরিচের গুড়ো ও ২ চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করুন। তারপর ছেঁকে পান করলেই সেরে যাবে কফযুক্ত কাশি। তবে শুকনো কাশির জন্য এ দাওয়াই কাজ করবে না।

Post a Comment

Nice Site

 
Top