0




জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা বাড়ছে। দেশে গড়ে ১৮ জন নারী মারা যান জরায়ুমুখে ক্যানসারে। নীরব ঘাতক হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) জরায়ু মুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ।
অবিন্যস্ত ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের ফলে অস্বাভাবিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কোষকলার পিণ্ডকে টিউমার বলে। টিউমার দুই ধরনের- বিনাইন বা শিষ্ট টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট বা দুষ্ট টিউমার। এ ম্যালিগন্যান্ট টিউমারই হলো ক্যানসার। জরায়ুমুখের দুষ্ট টিউমারটিকে বলে জরায়ুমুখের ক্যানসার।

যে কোনো বয়সেই নারীদের জরায়ু ক্যানসার হতে পারে। তবে ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের নারীরা এ রোগের বেশি আক্রান্ত হন। আবার ৫০ বছর বয়স্ক কিংবা এর থেকে বেশি বয়সের নারীরাও জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন।

জরায়ু ক্যানসরকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। কারণ এই অসুখ দেখা দিলে অনেক নারীই এর লক্ষণ বুঝতে পারেন না। আবার ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিলেও অনেক সময় গুরুত্ব দেন না। কাজেই সুস্থ থাকতে হলে আমাদের জরায়ুমুখে ক্যান্সারের লক্ষণগুলো জানতে হবে।

জরায়ুর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ
১. পেটে অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা পেট ফুলে থাকা। অন্য সময়ের থেকে পেটে অনেক পরিবর্তন দেখা দেয়া।

২. নারীদের মেনোপজ হওয়ার পরেও ব্লিডিং হওয়া।

৩. গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য। হালকা খাবারের পর পেট ভরে যাওয়া, পেটে অস্বস্তি লাগা এবং ক্ষুধা কমে যাওয়া জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

৪. নিন্মাঙ্গের চারপাশে চাপ লাগা কিংবা ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ আসা।

৫. বমি বমি ভাব কিংবা বার বার বমি হওয়া।

৬. অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা হঠাৎ করে অনেক বেশি ওজন কমে যাওয়া।

৭. যৌনমিলনের সময় ব্যথা অনুভব হওয়া।

৮. অল্প কাজেই অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করা।

এমএসআই

Post a Comment

Nice Site

 
Top