0
স্থ্য টিপ আপনার ঝিমুনি আসার কারণগুলো কী?



আপনার ঝিমুনি আসার কারণগুলো কী?আপনি কী প্রায়ই অলস, ক্লান্ত বা শক্তি কম অনুভব করেন? কেন এমন অনুভব হয়? আপনার এমন অনুভূতির কারণ হতে পারে স্ট্রেস, একঘেয়েমি, সুষম খাদ্যের অভাব বা  ইনসমনিয়া। সাধারণত রাতের ভালো ঘুমই এর প্রতিকার। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ঝিমুনি আসার  কারণ হতে পারে মারাত্মক কোন স্বাস্থ্য সমস্যা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, যারা থাইরয়েডের সমস্যায়, ঘুমের সমস্যায়, অ্যানেমিয়ায়, অ্যাজমা এবং ক্যান্সারে ভোগেন তারাও ঝিমুনির সমস্যায় ভুগতে পারেন। এর পাশাপাশি উৎসাহহীন এবং বিষণ্ণতার লক্ষণও দেখা যেতে পারে। তন্দ্রালুতা বা ঝিমুনি আসার অন্যান্য কারণগুলোর বিষয়ে জেনে আসি চলুন।

# যদি আপনার ঝিমুনি আসার সমস্যাটি দীর্ঘদিন যাবত থাকে তাহলে এটি মারাত্মক কোন স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এর জন্য কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো প্রয়োজন। চিকিৎসক আপনার রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করতে দেবেন।

# যদি আপনার ঝিমুনি আসার লক্ষণ এক বা দুই দিন দেখা যায় তাহলে এটি কোন মারাত্মক সমস্যা নয়। কিন্তু এর সাথে সাথে যদি ব্যথা, বিভ্রান্তি, মাথা ঘুরানো, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি, জ্বর বা বুকে ব্যথা থাকে তাহলে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী।

# ঝিমুনি আসার পাশাপাশি আপনার নিজেকে নিংড়ানো মনে  হতে পারে। আপনার পেশীর শক্তি কমে যেতে পারে এবং আপনি কোন কাজ করার উৎসাহ পান না। প্রেরণার অভাবে আপনি হয়তো দীর্ঘক্ষণ মনমরা হয়ে বসে থাকেন। আপনি যদি একে নজরআন্দাজ করেন তাহলে আপনার শরীর যেকোন উদ্দীপকের প্রতি সারা দিতে ব্যর্থ হবে।

# দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে যদি আপনার নিদ্রালুতা বৃদ্ধি পায় তাহলে এর জন্য দায়ী হতে পারে আপনার থাইরয়েডের সমস্যা। আরো যে লক্ষণগুলো প্রকাশিত হয় সেগুলো হচ্ছে – হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।

# যদি আপনার ঝিমুনির লক্ষণের পাশাপাশি মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতাও থাকে এবং সারাদিনই ঝিমাতে থাকেন আপনি তাহলে তা হতে পারে ঘুমের অভাবের কারণে।

# যদি স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়াম করার পরও আপনার ঝিমুনির লক্ষণ দূর না হয় তাহলে এটি হতে পারে ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমের কারণে।

এ বিষয়ে একজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। সক্রিয় থাকা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ঝিমুনি বা নিদ্রালুতার সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা, মাদকের ব্যবহার, বিষণ্ণতা, অনুশোচনা এবং ডিমেনশিয়ার কারণেও হতে পারে  ঝিমুনি। এ রকম অবস্থায় চিকিৎসকের সাথে কথা বলাটাই জরুরী।


সূত্র: বোল্ড স্কাই

Post a Comment

Nice Site

 
Top