ত্বকের ভেতর থেকে যদি সঠিক পুষ্টি দেয়া যায়, তাহলে ত্বক হয় আরো উজ্জ্বল আরো প্রাণবন্ত। তবে ত্বকের যত্নে বা ত্বক আরো উজ্জ্বল করতে নানান ধরনের ফেইস প্যাক ব্যবহার করা হয়। তা না করে, যদি কিছু খাবার আছে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে সেহুলো খেলে বেশি ভালো হয়। এখানে কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করা হলো যেগুলো ত্বককে ভিতর থেকে সুন্দর করতে সাহায্য করে।
দুধ :
প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা। দুধে কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন। তারপর টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধে গাঢ় হলুদ রঙ ধরলে পান করুন। এভাবে প্রতিদিন একবার পান করবেন।
কাচা হলুদ ও আখের গুড় :
ত্বক সুন্দর রাখতে ভেতর থেকে ভালো থাকাটা অনেক জরুরি। সকালে খালিপেটে আখের গুড় দিয়ে কাঁচা হলুদের রস খেলে পেট পরিষ্কার হয় ও রক্ত পরিশোধিত হয়। ত্বকও ভালো থাকে। ত্বকের নানান সমস্যা দূর হয়।
পানি :
বৃটিশ বিজ্ঞানীরা ত্বক সুন্দর রাখতে পানি নিয়ে একটি ভিন্নধর্মী তথ্য দিয়েছে। তারা গবেষণায় দেখেছেন শুধুমাত্র পর্যাপ্ত পানি পানের ফলে ত্বকে পানির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলে ত্বকের সৌন্দর্য বেড়ে যায় এবং ত্বকের ভাঁজ কমতে সাহায্য করে। পানি পান শুধু সুস্থ কিডনীর জন্য প্রয়োজন তাই নয়, পানি ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা এবং খাদ্য পরিপাকে ও এসিডিটি লাঘবে সহায়ক। যারা ত্বক সুন্দর রাখতে চান তারা প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন।
গাজর :
গাজর ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং পটাশিয়াম না থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। প্রতিদিন গাজরের জুস খেলে ত্বকে পটাশিয়ামের অভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। তাই ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে নিয়মিত গাজরের জুস খান।
একটু বয়স হলেই ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। এছাড়াও ত্বক অনুজ্জ্বল ও দাগ হয়ে যায়। তাছাড়া সূর্যের আলোতেও ত্বক অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। নিয়মিত গাজর খেলে বাহ্যিক ক্ষতি থেকে ত্বক রক্ষা পায় এবং ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। গাজর খেলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভেতর থেকে ভালো থাকে। এছাড়াও গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যেগুলো ত্বককে ব্রণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও ব্রণ উঠতে সে জায়গাটায় নিয়মিত গাজরের রস লাগালে দাগ দূর হয়ে যায় বেশ তাড়াতাড়ি।
মিষ্টি আলু :
মিষ্টি আলু প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখার জন্য আদর্শ। এটি শরীরে পানির প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি ত্বকে আদ্রভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। মিষ্টি আলু ছাড়াও গাজর, পালংশাকের মতো গাঢ় রংয়ের ফলমূল এবং সবজি ত্বকের জন্য উপকারী।
কাজুবাদাম ও সূর্যমুখী ফুলের বীজ :
ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন ই। আর এই উপাদানে ভরপুর হল কাজুবাদাম এবং সূর্যমুখী ফুলের বীজ। তাছাড়া সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতি সারিয়ে তুলতেও দারুণ কাজ করে এই দুটি খাবার।
কমলার রস :
ফলের রসের থেকে ফল খাওয়া ভালো। তবে কমলার রস ত্বক আদ্র রাখার পাশাপশি ভিটামিন সি-এর চাহিদাও পূরণ করে। ভিটামিন সি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করে যা ত্বক সুস্থ রাখে।
তেলজাতীয় মাছ :
মাছে রয়েছে বাইয়োটিন, যা দ্রুত দ্রবণীয় ভিটামিন বি। বহু কাজের মধ্যে, এটা শরীরে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে এবং অ্যামাইনো এসিড শরীরে শোষণে সহায়তা করে। আর অ্যামাইনো এসিড হল প্রোটিনের ভিত্তি। দেহ গঠনের মূলে রয়েছে প্রোটিন। তাই দেহ এবং ত্বকের সুস্থতার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বীজ :
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ত্বকের ভিতর থেকে নমনীয় করে তোলে। আর ফ্যাটি এসিডের আদর্শ উৎস হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, হ্যালিবাট, টুনা, সারডিন্যাস, মাকেরেল, হেরিং), ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিম ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। ইলিশ, রূপচাঁদা ও পাঙ্গাশ মাছে অল্প পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। ওমেগা-৬ খাবারের মধ্যে আছে তিল, তিশি, বাদাম, মিষ্টিকুমড়া, দুগ্ধজাত পণ্য, শস্যজাতীয় খাদ্য, সূর্যমুখীর তেল প্রভৃতি। আমাদের খাদ্য তালিকায় যে পরিমাণ এবং যে প্রজাতির মাছ থাকে তা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় না।
তথ্য : ইন্টারনেট
ইসি
Post a Comment
Nice Site